
দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ
দিঘলিয়ায় মৎস্য দপ্তরের মৎস্যসম্পদ সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণে স্থল ও নদ-নদীগুলোতে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য স্থল ও নৌযান সরবরাহ প্রয়োজন।
দিঘলিয়া মৎস্য দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মৎস্য চাষ, খালে বিলে দেশী মাছের সংরক্ষণ ও নানা মৌসুমে মা ইলিশ ও জাটকা নিধন প্রতিরোধে নানা অভিযান পরিচালনা করা হয়। সারা বছর ধরে পরিচালিত এ সকল অভিযান পরিচালনা কার্যক্রমে দপ্তরের নিজস্ব যানবাহন ছাড়া সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ অভিযানের স্বার্থে নৌ ও স্থলযান খুবই দরকার।
সূত্রে আরো জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে যে দপ্তরগুলো একদিকে মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করে অপরদিকে সরকারি রাজস্ব খাতে বড় ধরণের অর্থনৈতিক সাপোর্ট এনে দেয় সগুলো হলো উপজেলা কৃষি দপ্তর, উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তর ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে ইতোমধ্যে গাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু দেশী নানা প্রজাতের মাছ ও ইলিশসম্পদ সংরক্ষণে যে দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সারাদিন দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে হয়। স্থল ও নৌপথে সারা বছর অভিযান পরিচালনা করতে হয়। এ সকল অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নিজস্ব যানবাহন অতিব গুরুত্বপূর্ণ এমনটাই জানিয়েছেন এলাকার মৎস্যের সাথে জড়িত পেশাজীবি ও মৎস্য চাষিরা। নিজস্ব যানবাহনে যে কাজ করা যায় ট্রলার ভাড়া করে সে কাজ সুসম্পন্ন করা সম্ভব হয়না। জনগুরুত্বপূর্ণ এ দপ্তরের রয়েছে চরম জনবল সংকট। নেই সহকারী মৎস্য অফিসার, নেই উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার, নেই হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা নেই অফিস সহকারী। একটা জনগুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে যদি এতগুলো কর্মকর্তার পদ শূন্য থাকে তবে সেখানে সরকারি কাজ চলে কি করে এটাই বিজ্ঞমহলের জিজ্ঞাসা। পাশাপাশি থাকা দরকার প্রয়োজনীয় সংখ্যাক স্বল্প ভাতায় অভিযান সহায়ক কর্মীবাহিনী।
এ ব্যাপারে কথা হয় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার দিঘলিয়া স্নিগ্ধা খাঁ বাবলী এর সাথে। তিনি এ ব্যাপারে এ প্রতিবেদককে বলেন, দিঘলিয়া উপজেলা একটি নদী বেষ্টিত উপজেলা। উপজেলায় ৩৪৭.৭৩ হে: আয়তন বিশিষ্ট ৪টি নদী আছে যেখানে ইলিশ সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। নদীতে ইলিশের বাৎসরিক উৎপাদন প্রায় ৬৬ মে.টন.। বছরের বিভিন্ন সময় নদীতে ইলিশ সম্পদ রক্ষায় অভিযান ও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন বাস্তবায়ন করা হয়। এই অভিযান পরিচালনার জন্য দ্রুতগামী নৌযান এর অভাবে অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।অপরদিকে অত্র উপজেলায় সরকারি বেসরকারি পুকুর, গলদা ঘের, কার্প জাতীয় মাছের ঘেরসহ ও অন্যান্য জলাশয় মিলিয়ে প্রায় ৩৩০০ টি জলাশয় আছে যার আয়তন প্রায় ১৩২২.৮৪ হে. এবং উৎপাদন প্রায় ৫২৩০.০৬ মে. টন। এই সব ঘের ও পুকুর পরিদর্শন করার জন্য সরকারি পরিবহন এবং পর্যাপ্ত জনবল প্রয়োজন।
সৈয়দ জাহিদুজ্জামান
০১৯৩৫৭৮৫৬৮০