
আস্তির্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইল মঙ্গলবার ভোর থেকে আবারও সামরিক আক্রমণ শুরু করেছে, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে এই নতুন অভিযান পরিচালনা করা হয়। সম্প্রতি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ গাজার আরও গভীরে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং দেশটির সেনাবাহিনী উত্তর ও দক্ষিণ গাজায় তাদের স্থল অভিযান সম্প্রসারণ করেছে।
শুক্রবার এক বক্তব্যে ইসরাইল কাটজ বলেন, ‘‘ইসরাইলি বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান তীব্র করবে এবং সকল ধরনের সামরিক ও বেসামরিক চাপ প্রয়োগ করা হবে।’’ এর মধ্যে দক্ষিণ গাজার জনসংখ্যা সরিয়ে নেওয়া এবং গাজার বাসিন্দাদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বেচ্ছায় অভিবাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়েছে, কাটজ সেনাবাহিনীকে গাজার অতিরিক্ত এলাকা দখল, জনগণকে সরিয়ে নেওয়া এবং ইসরাইলি সম্প্রদায় ও সেনাবাহিনীর সুরক্ষার জন্য গাজার চারপাশে নিরাপত্তা বলয় সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘হামাস যতক্ষণ না গাজার আটকা পড়া পণবন্দীদের মুক্তি দেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইল গাজার ভূমি দখল করবে।’’
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টে কাটজকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘‘হামাস যত বেশি পণবন্দী মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তত বেশি এলাকা হারাবে, এবং এসব এলাকা ইসরাইলের সাথে সংযুক্ত করা হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি পণবন্দী মুক্তি না দেয়, তাহলে ইসরাইল গাজার আরো বেশি অঞ্চল স্থায়ী নিয়ন্ত্রণের জন্য দখল করতে থাকবে।’’
ইসরাইলি স্থলবাহিনী গাজার আরও গভীরে প্রবেশ করার সাথে সাথে তাদের জেট বিমানগুলো সেখানে ভয়াবহ বোমাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ফিলিস্তিনি চিকিৎসকদের মতে, উত্তরে গাজার তুফাহ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে এবং দক্ষিণে খান ইউনিসের কাছে আবাসনে ট্যাঙ্কের গুলিতে এক মা ও তার মেয়ে নিহত হয়েছেন।
সূত্র: আল জাজিরা