
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার বড় কাশিপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার ২০ মার্চ সকালে মো. রাজিবুল নামে এক পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধকি জমি থেকে কাঁচা ধান কেটে দিয়েছেন । সঙ্গে ছিলেন তার বড় ছেলে আরবিপ (১৬) এবং সে সময় তাদের কাছে একটি কাঁচি ও রামদা ছিল।
সরজমিন জানা যায়, জমিটি রাজিবুলের ছোট ভাই মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম মোহাম্মদ হায়দার শেখের কাছে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। এছাড়াও মোহাম্মদ মোক্তার আলী খানের কাছে ২ লক্ষ টাকা, মোহাম্মদ হযরত আলীর কাছে ২ লক্ষ টাকা ও মোহাম্মদ কাশেম শেখের কাছে ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখা হয়।
মাত্র কাঁচ থোর আসা কাঁচা ধান
কাটতে গেলে বন্ধক রাখা ব্যক্তি জমির মালিকানা দাবি করে মোহাম্মদ হায়দার শেখসহ কয়েকজন বাধা দেন। এতে রাজিবুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের রামদা দিয়ে মারার হুমকি দেন। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে এবং প্রতিপক্ষের আঘাতে রাজিবুলের মাথা ফেটে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ছেলে আরবিপও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয় মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি শুরু থেকেই ঘটনাস্থলে ছিলাম। রাজিবুলকে ধান কাঁটতে নিষেধ করলেও সে শোনেনি, উল্টো ধমক দিয়ে মামলার ভয় দেখিয়েছে।”
মোহাম্মদ মুক্তার আলী বলেন, “আমি টাকা দিয়ে জমি বন্ধক নিয়েছি। রাজিবুল আমার টাকা ফেরত দিলে আমি চলে যাব, কিন্তু রাজিবুল আমাকে মামলার হুমকি দেয়।”
রাজিবুলের মা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ থাকাকালীন মাত্র ৫০ হাজার টাকায় জমি বন্ধক দিয়েছিলাম, পরে আরও ২ লাখ টাকা নেওয়া হয়। রোজার ঈদের পর সেই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তা রাজিবুল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বাবা ২০১৭ সালের ৯ এপ্রিল মারা যান। আমি ও আমার মেজ ভাই বাইরে থাকার সুযোগে আমার ছোট ভাই শরিফুল ইসলাম আমাদের জমি বন্ধক রেখেছে, সেই টাকা আমি কেন দেব?”
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মঈনউদ্দিন জানান, এটা উনাদের জমিজমা বন্টন নিয়ে পারিবারিক সমস্যা, এ ঘটনা জানার পরে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছে।