
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচ শিশু এবং দুই নারী রয়েছে, বলে জানিয়েছেন হুতি বিদ্রোহীদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, হুতিদের লাগাতার হামলা বন্ধ না হলে তারা তাদের সামরিক অভিযান চালিয়ে যাবে।
হুতি বিদ্রোহীরা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, তারা লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজগুলোর ওপর আক্রমণ অব্যাহত রাখবে। বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহি রবিবার এক্স (পূর্বে টুইটার) পোস্টে জানিয়েছেন, মার্কিন হামলায় ৫৩ জন নিহত ও ৯৮ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হুতি নেতারাও থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে, তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, শনিবার তারা হুতিদের লক্ষ্যবস্তুতে “ব্যাপক ও শক্তিশালী” বিমান হামলা চালিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, লোহিত সাগরে চলাচলরত মার্কিন জাহাজে হুতিদের হামলাকে এই আক্রমণের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ওয়াশিংটন জানায়, নিহতদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হুতি নেতা রয়েছেন, তবে গোষ্ঠীটি এই তথ্য নিশ্চিত করেনি।
ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে হুতিদের সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বলেন, “তোমাদের সময় শেষ, আজ থেকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। যদি তোমরা এটা না করো, তাহলে তোমাদের ওপর নরকের বৃষ্টি নেমে আসবে, যা আগে কখনো দেখোনি।”
হুতি নেতা আব্দুল মালিক আল-হুতি বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমেরিকা ইয়েমেনে আক্রমণ চালিয়ে যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের যোদ্ধারা লোহিত সাগরে মার্কিন জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালাবে।”
লোহিত সাগরে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র এই কড়া জবাব দিচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি জাহাজে হামলা বন্ধ না হয়, তবে এর ভয়ংকর পরিণতি ঘটতে পারে। ইরান সমর্থিত হুতিরা ২০২৩ সালের শেষ থেকে লোহিত সাগরে একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের দাবি, গাজায় ইসরায়েলি হামলার শিকার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তারা এই হামলা চালাচ্ছে।
সূত্র: রয়টার্স