
নিজস্ব প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের অন্যতম বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম ব্যাচের সকল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সরব উপস্থিতিতে ঢাকার গাজীপুরের শালদাহ ইকো রিসোর্টে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার সারাদিনব্যাপী পারিবারিক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে এই মিলনমেলা এক টুকরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহ সৃষ্টি করে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই আয়োজনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বহু বছরের পুরানো বন্ধুদের পেয়ে আড্ডায় মেতে ওঠেন এবং দৈনন্দিন কর্মজীবনের ব্যস্ততায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বন্ধুদের পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার শিক্ষার্থীরা ছাড়াও চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, সিলেট, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১তম ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে প্রশাসন, পুলিশ, সামরিক বাহিনী, ট্যাক্স, নির্বাচন কমিশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ব্যাংক, বিদেশি সংস্থা ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চপদে কর্মরত আছেন। এছাড়া, এই ব্যাচের অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার মাধ্যমে দেশের শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন এবং বিভিন্ন ব্যবসার মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।
উক্ত পারিবারিক মিলনমেলা আয়োজন ও সফল করতে উপস্থিত এবং অনুপস্থিত শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ব্যাচের অগ্রজ ও অনুজদের ভূমিকা প্রশংসার দাবিদার। বিশেষ করে অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইমরুল খান, নাজমুল আলম, আনোয়ার হোসেন, গাজী পারভেজ হাসান; মার্কেটিং বিভাগের মোরশেদ উদ্দিন খান, রমিজ আহমেদ, আব্দুল্লাহ হোসেন মিঠু; রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের নুরুল আমিন, দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদুল ইসলাম, মিজবাহ জাবেদ, সাইফুল ইসলাম, আব্বাস উদ্দিন, মনিরুল্লা, জাবেদ মোরশেদ; সমাজতত্ত্ব বিভাগের মোস্তফা কামাল, মিজানুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মিজবাহ উদ্দিন নাঈম; পরিসংখ্যান বিভাগের মনিরুজ্জামান শৈবাল; ফাইন্যান্স বিভাগের গোলাম রাব্বানি; ফরেস্ট্রি বিভাগের গিয়াস উদ্দিন; আইন বিভাগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম; পদার্থ বিভাগের ফজলে রাব্বি।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মিলনমেলায় পারস্পরিক পরিচিতি, আড্ডা, স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃত্তি, গান পরিবেশনসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে র্যাফেল ড্র ও পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।