
যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন আইনে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে, যেটি প্রচুর সমালোচনার সম্মুখীন হলেও যুক্তরাজ্যের বর্তমান ক্ষমতাশীল লেবার পার্টির স্যার কেয়ার স্টারমার সরকার- অবৈধভাবে ব্রিটেনে প্রবেশ করলে সেই সব মানুষকে আর বৃটিশ নাগরিকত্ব দেবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এ কারণে ইতিমধ্যেই যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন আইনে বড় পরিবর্তন এনেছে হোম অফিসের ওয়েবসাইটে।
সরকারের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তকে বিজ্ঞজনেরা অত্যন্ত মানবতা বিরোধী সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিবাদ জানালেও, তাহা উপেক্ষা করে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ থেকে যারা যুক্তরাজ্যে বৃটিশ নাগরিকত্বের আবেদন গ্রহণের ক্ষেত্রে Good Citizenship তালিকায় ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করা নাগরিকদের জন্য ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে ব্রিটেনে দীর্ঘ সময় বসবাস করলে আইএলআর বা নাগরিকত্ব গ্রহণের সুযোগ থাকলেও, এখন অবৈধভাবে প্রবেশ করা নাগরিকদের জন্য আর তা কোনক্রমেই সম্ভব হবে না। ১০ ফেব্রুয়ারি লেবার পার্টির প্রধান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের ঘোষণার পর ঐ দিন থেকেই ঘোষণা কার্যকর করেছে হোম অফিস। এ ব্যাপারে লন্ডনের বিশিষ্টজনদের অভিমত হলো, কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হোম অফিসের মৌলিক পলিসিতে এমন আকস্মিক পরিবর্তনের কারণে হঠাৎ করেই বিপুল সংখ্যক আবেদনকারী চরম বিপাকে পড়বে। পূর্বের নিয়মে একজন নাগরিক আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেল খেটে বেরিয়ে এলেও, একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর তার অপরাধ স্পেন্ট বা মুছে দেয়া হতো, কিন্তু এখন অবৈধ প্রবেশকারী ব্যক্তি তিনি সর্বদাই অপরাধী বলে বিবেচিত হবেন এবং তার রেকর্ড পত্রও থাকবে। আর এ কারণে অবৈধ প্রবেশকারী ব্যক্তিকে সারা জীবনের জন্য এখন আর ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভের সুবিধা চিরতরে নিষিদ্ধ হয়ে যাবে।
মীর মাহবুব মোর্শেদ
লন্ডন, ইউনাইটেড কিংডম থেকে