
শাহীন বিশ্বাস: সাতক্ষীরা জেলা পাটকেলঘাটার শানতলা গ্রামে আবাসিক এলাকায় মাছ শুকানোর কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েই চলেছে।
এলাকার ব্যবসায়ীরা প্রায়ই শুকানোর জন্য বেশি পরিমাণে মাছ সংগ্রহ করে। এই মাছ শুকানোর সময় প্রচণ্ড দুর্গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে, আশেপাশের বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনে বিপত্তি ঘটাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা চলাচল করার সময় নাক-মুখ চেপে ধরে উক্ত স্থান পার হতে হয়। ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কারোর অভিযোগ বা বাধাকে তারা তোয়াক্কা করছেন না।
গতকাল সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের সময় দৈনিক কালের চিত্রের প্রতিবেদক শানতলা গ্রামের মতিউর রহমান গাজী (৩৫) জানান, এখানকার কয়েকজন শুটকি মাছ ব্যবসায়ী বিভিন্ন জায়গা থেকে পঁচা মাছ এনে প্রকাশ্যে মেইন রাস্তার পাশে রোদে শুকায়। ফলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়া দুরগন্ধে শিশু থেকে মধ্যবয়সী সকলের স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। অনেকেই শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সমস্যা এবং মাথাব্যথার মতো রোগে ভুগছেন। বিশেষত শিশু এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই পরিবেশ অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
পথচারী পাটকেলঘাটা পুটিয়াখালী গ্রামের নিতাই ঘোষ বলেন, “জনবহুল এলাকা হওয়া সত্ত্বেও এই ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো সম্পূর্ণ অনুচিত বলে মনে করি।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুর রহমান ফকির বলেন, “উক্ত বিষয়টি বিভিন্ন লোকজন আমার কাছে অভিযোগ করেছে, আমি নিজেও বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী। কর্মব্যস্ততার কারণে আমি এখনও তাদের সাথে কথা বলতে পারিনি, তবে দ্রুত তাদের সাথে কথা বলবো।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, “তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেছেন।”
সাতক্ষীরা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম জানান, “জনবহুল এলাকায় মাছ শুকানোর নির্দেশ নেই, কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি, গত বছর ঐ এলাকায় মাছ শুটকির সেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।” সর্বপরি, স্থানীয় সচেতন মহল উক্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উচ্চতন কর্তৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।