
মো. নুরুজ্জামান খোকন (পিরোজপুর):
পিরোজপুর কাউখালী উপজেলা থানা পুলিশের আয়োজনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাংবাদিক এবং জনসাধারণের উপস্থিতিতে উক্ত ওপেন হাউজ ডে পালিত হয়।
অদ্য ১৫ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ২০২৫ তারিখ, সকাল ১১টার সময় থানা কমপ্লেক্সে, “পুলিশ জনতা-জনতাই পুলিশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, কাউখালী থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. সোলায়মান। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সাবিহা মেহেবুবা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, নেছারাবাদ সার্কেল, পিরোজপুর জেলা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এস আই (নিঃ) দীপক বালা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও সভাপতির শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মো. সোহেল, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সদস্য সচিব। মো. আলী হোসেন, সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন কাউখালী শাখা। সরকারি বালক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বজলুর রহমান। এসবি বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। কাউখালী থানা কমপ্লেক্সের সকল অফিসার, পুলিশ সদস্যসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ওপেন হাউজ ডে-তে খোলামেলা বক্তব্যে উপস্থিত সকলে বলেন, উপজেলার অপরাধমূলক ও মাদকের সেবনে স্থানগুলো, ৫ নং শিয়ালকাঠীতে পুলিশি টহল জোরদার, অধ্যক্ষ অটো ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শুরুর এবং ছুটির সময়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশি টহল জোরদার করা, সেই সাথে অভিভাবকদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হতে ভূমিকা গ্রহণ যাতে করে সন্তানরা ইভটিজিং ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা। উপস্থিত বক্তৃতায় বর্তমানে থানা পুলিশ কর্মকর্তার দায়িত্ব ও ভূমিকায় প্রশংসা করা হয়।
পরিশেষে সকল সমস্যা সমাধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিহা মেহেবুবা বলেন, পুলিশ ও জনগণের দূরত্ব কমিয়ে মধ্যকার সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, সেই সাথে জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা প্রতিষ্ঠা করা। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার, আবু নাসের এর দিক নির্দেশনায় প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজ শেষে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, বাল্য বিবাহ, ইভটিজিং, মাদক বিরুদ্ধে সকলকে পাশে থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিটি থানায় ওপেন হাউজ ডে পালিত হচ্ছে। পরবর্তীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপস্থিত সকলের বক্তব্যের সমস্যা সমাধানে, একটি নিরাপদ অপরাধমুক্ত আইনের শাসন ও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে সমাজ গঠনে, জনগণ ও পুলিশের মধ্যে বন্ধুত্ব সৃষ্টি হোক। অতঃপর আলোচনা শেষে সভাপতি অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
You cannot copy content of this page