
ছেলেবেলাতেই রাশেদুল ইসলাম বুঝে গিয়েছিলেন, জীবনে কোনো অর্জনই সহজে আসে না। নড়াইলে জন্ম। তবে বাবার চাকরির সুবাদে বেশ কয়েকবার ঠিকানা আর স্কুল বদলাতে হয়েছে। এসএসসির পর ভর্তি হন লোহাগড়া আদর্শ কলেজে। তবে প্রযুক্তির প্রতি একটা আগ্রহ ছিল সব সময়।
একদিন হুট করে খোঁজ পান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে। প্রস্তুতি না থাকলেও পরীক্ষা দিলেন। গোপালগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খাদ্য প্রকৌশল বিষয়ে সুযোগও পেয়ে গেলেন। তখনো আদতে এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেন, এটি কেবল খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণই নয়, বরং বিজ্ঞানের এক বিস্তৃত ক্ষেত্র, যেখানে পুষ্টি, খাদ্যনিরাপত্তা ও গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
চার বছরের ডিপ্লোমা প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হন রাশেদুল ইসলাম। স্কিলস অ্যান্ড ট্রেইনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের অধীন বিভিন্ন সনদ অর্জন করেন। মাছের আঁশ থেকে কোলাজেন সংগ্রহ করে বিশেষ ধরনের আঠা তৈরির একটি প্রকল্পে যুক্ত হয়ে তাঁর গবেষণার আগ্রহ বাড়তে থাকে।