
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে ভারতে আশ্রয় নেয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া, বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন ফের বাড়ছে। শেখ হাসিনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্লাটফর্মে অব্যাহতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য এবং বিবৃতি দিয়ে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা উসকে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করে ভারতের কাছে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আর এর পাল্টা হিসেবে দিল্লিতেও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে তলব করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মিত বিবৃতিগুলোতে ভারতকে নেতিবাচকভাবে চিত্রায়িত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শাসনসংক্রান্ত বিষয়গুলোর জন্য ভারতকে দায়ী করা হচ্ছে। বাস্তবিক অর্থে বাংলাদেশের এসব বিবৃতি বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্য দায়ী।
বাংলাদেশ ও ভারত দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সীমান্ত হত্যাসহ নানা ইস্যুতে বিরোধ থাকলেও কূটনীতিকদের তলব, পাল্টা-তলবের ঘটনা বিরল। তবে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর প্রেক্ষাপট পাল্টে গেছে। ভারতের আশ্রয়ে থেকে নানা সময়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত বিষোদগার করে গেছেন। এ ব্যাপারে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। শেষ পর্যন্ত ছাত্রলীগের উদ্দেশে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে বিষোদগারের মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে ছাত্র-জনতার ক্ষোভ গিয়ে পড়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও আওয়ামী নেতাদের পরিত্যক্ত বাড়িঘরে।